নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছিল কক্সবাজার উপকূলের এক হাজারের বেশি ট্রলারের লক্ষাধিক মাঝিমাল্লা। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাদের আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে।
শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে শহরের বাঁকখালী মোহনার ৬ নং ঘাট, নুনিয়াছড়া, পেশকারপাড়া নৌজেটিগুলো ঘুরে দেখা গেছে, যারা মধ্যরাতে সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল তারা সবাই কূলে ফিরে এসেছে। ভোর থেকে টানা বৃষ্টি ও সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে তাদের ফিরে আসতে হয়েছে। বড় বড় ঢেউয়ের আঘাতে অনেক নৌকায় ফাটল ধরায় দ্রুত কূলে ফিরেছে বলে জানিয়েছে জেলেরা।
ট্রলার মালিক জনি মোহাম্মদ বলেন, আমার ট্রলারে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বাজার রয়েছে। প্রত্যেক জেলে ও মাঝিকে অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। যদি সঠিক সময়ে জাল ফেলতে না পারে তাহলে বড় ধরনের লোকসান হবে আমাদের।
এফবি আনভিরের মালিক মো. শাহ আলম বলেন, তিনটি ট্রলারের একটিও সাগরে যেতে পারেনি। যেটি বের হয়েছিল সেটিতেও ফাটল ধরায় ফেরত আসতে হয়েছে।
কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কক্সবাজারে এক হাজার ট্রলার রয়েছে। আর এসব ট্রলারে লক্ষাধিক মাঝি-মাল্লা আছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৬৫ দিন পরও সাগরে যেতে না পারায় হতাশ তারা। হয়তো সতর্কতা সংকেত নেমে গেলে তারা সাগরে যেতে পারবেন।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে টেকনাফ উপকূলে। কক্সবাজারেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। লঘুচাপের কারণে কক্সবাজার উপকূলে চলাচলরত সকল নৌযানকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।