বার্তা পরিবেশক :
কক্সবাজার হাসপাতাল সড়কস্থ জেনারেল হাসপাতালে রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রহস্যজনক কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসা আন্তর্জাতিক সংস্থা এমএসএফ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সাংবাদিকদের তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায, রোহিঙ্গা রোগীদের চিকিৎসা করাতে জেনারেল হাসপাতাল ও এমএসএফের মধ্যে চুক্তি রয়েছে। সে মোতাবেক গর্ভবতী জটিল এক রোগীকে ২৭ জুন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীর সাথে আসে এক রোহিঙ্গা তরুণী। ওই তরুণীর দিকে কুনজর পড়ে হাসপাতালের কর্মচারী শফি, আতাউর রহমান ও নুরুল হকের। তারা ৩ জন ওই তরুণীকে হাসপাতালের ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে ১ জুলাই বৃহস্পতিবার। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই রোগীকে ৪ তলায় নিয়ে রাখা হয়। পরদিন ভোরে তড়িঘড়ি করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হয় রোগীসহ ওই তরুনীকে। এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠে হাসপাতাল ও এমএসএফ কর্তৃপক্ষ।।
এব্যাপারে হাসপাতালের এমডি ডা সুনয়ন বড়ুয়া গণমাধ্যমকে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ঘটনাটি স্বীকার করেন। তবে তিনি দাবি করেন ধর্ষণ নয়, কুপ্রস্তাব দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ৩ জন কর্মচারিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
কেন ধর্ষণের মত একটি ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হয়েছে তা আদৌ বোধগম্য নয়। প্রায় সময় রোহিঙ্গা রোগীদের সাথে এ ধরনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এবিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।