ডেস্ক নিউজঃ
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট এলাকার দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র তাপদাহে ওই অঞ্চলে পাঁচ দিনে ৪৮৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির ওই প্রদেশে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছেই। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা অধিকাংশই বয়স্ক নাগরিক। এ কারণে বয়স্ক মানুষদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার চিফ (প্রধান) লিসা লাপোয়েন্তে বুধবার সন্ধ্যায় বলেছেন, ব্রিটিশ কলম্বিয়া (বিসি) করোনার্স সার্ভিস শুক্রবার থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৪৮৬ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে। মৃত্যুর এই সংখ্যাটি বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
চলমান সপ্তাহের আগে কখনোই কানাডার কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেনি।
ভ্যাঙ্কুভারের বার্নাবি অঞ্চলে দায়িত্বরত রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) করপোরালমাইক কালানি নাগরিকদের উপদেশ দিয়েছেন, বয়স্ক নাগরিক এবং প্রতিবেশীদের খোঁজ খবর রাখার জন্য।
‘আমরা বেশ তাপমাত্রায় অনেকটাই অভ্যস্ত, কিন্তু ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সাথে ৪৭ ডিগ্রির বিস্তর ফারাক’, বলেন তিনি।
কানাডার স্বাস্থ্য অধিদফতর ‘এনভায়রনমেন্ট কানাডা’ ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও অ্যালবার্টা প্রদেশ এবং সাসকেচুয়ান, নর্থওয়েস্টার্ন টেরিটোরিস এবং ইউকন প্রদেশের কিছু এলাকায় অতিরিক্ত তাপমাত্রার জন্য সতর্কতা জারি করেছে।
‘আমরা পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শীতপ্রবণ দেশ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বরফ পড়ে, এমন একটি দেশ। এখানে মাঝেমধ্যে শৈত্যপ্রবাহ বা তুষার ঝড় হয়ে থাকে, কিন্তু এরকম উষ্ণ তাপমাত্রা এখানে প্রায় কখনোই পাওয়া যায় না’, মন্তব্য করেন এনভায়রনমেন্ট কানাডা’র একজন সিনিয়র জলবায়ুবিদ ডেভিড ফিলিপস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়তে থাকলে এই ধরণের তাপদাহ সৃষ্টি হওয়ার হারও বাড়তে পারে।
তবে যেকোনো একটি ঘটনার কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করাও পুরোপুরি সঠিক নয় বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র : বিবিসি ও আল জাজিরা