আবদুল্লাহ নয়ন:
কক্সবাজারে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ ২ জুলাই কক্সবাজার শহরে সড়কে কিছু রিকশা ও ইজিবাইক চলতে দেখা গেছে। জরুরি পরিসেবায় নিয়োজিত সরকারি এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার যানবাহন অন্য কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করত দেয়া হয়নি। কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সকাল থেকেই মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী বিজিবি। শহরের মোড়ে মোড়ে সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ র্যাব সার্বক্ষণিক সড়ক ও মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে লকডাউন কার্যকর করছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজ সকাল থেকেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগনকে সাথে নিয়ে লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছে। এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটগন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে।
জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলায় ও বিভিন্ন পর্যটন স্পটে লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসন ও পুলিশ সর্বোচ্চ কাজ করছে। তারা জানান লকডাউন কার্যকর করতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় মাঠে থাকছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও লকডাউন কঠোর ভাবে কার্যকর করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।
কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন কক্সবাজার জেলায় স্বাস্থ্য বিধি না মানায় ১৭২ জনকে ৯১ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কক্সবাজার শহরে প্রধান প্রধান মার্কেট ও দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। তবে অষুধের দোকান মুদির দোকান সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দোকান খোলা রয়েছে।
সকাল থেকে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনের পাচটি টিম লকডাউন কার্যকর করতে এবং স্বাস্থ্য বিধি মানতে প্রচারণা চালিয়েছে। দ্রব্য মুল্য স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়েছে।
অপরদিকে কক্সবাজার – চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার – টেকনাফ মহাসড়ক সহ বিভিন্ন রোডে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাখতে জেলা পুলিশের নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশ কক্সবাজার বাস টার্মিনাল, লিংক রোড সহ কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে তৎপরতা চালিয়েছে।
অপর দিকে জেলার ৮ উপজেলায় কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছে স্হানীয় প্রশাসন ও পুলিশ। উপজেলা পর্যায়ে সেনাবাহিনী ও বিজিবি লকডাউন কার্যকর করতে স্হানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে মাঠে রয়েছে।